শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ভোট শুরু হতে না হতেই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ ঘটল ভারতের নাগাল্যান্ডের একটি ভোট গ্রহণকেন্দ্রে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের টিজিটের পোলিং বুথে। সকাল ৮টা নাগাদ কড়া নিরাপত্তার মধ্য নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ঘটে বিপত্তি।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং। প্রশ্নের উত্তরে আত্মবিশ্বাসী জেলিয়াং ফের জনতার রায়ে ক্ষমতায় ফেরার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছে ভোট। শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এই বক্তব্যের পরে পরেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এমনিতেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে রয়েছে নাগাল্যান্ডের সংবেদনশীল এলাকাগুলি। সীমান্ত এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার প্রবণতার কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের উইলিয়ামনগর কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী জোনাথন এন সাংমা হামলার মুখে পড়েন। নির্বাচনী জনসভা থেকে ফেরার সময় গারো পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় শক্তিশালী ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়। তাই মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড মিলিয়ে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্র থাকলেও ভোট হচ্ছে ৫৯টিতে। জোনাথন এন সাংমার নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের উত্তর অঙ্গামী-২ কেন্দ্রে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগেসিভ পার্টি (এনডিপিপি) প্রধান নেইফিউ রিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাই সেখানে আর ভোট গ্রহণ হবে না।
মঙ্গলবার দুই রাজ্যেই ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৭টা নাগাদ। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বেলা দুটো পর্যন্ত। তবে দুই রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলে এই সময়সীমা বেড়ে তিনটে করা হয়েছে। আগামী তিন মার্চ দুই রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল জানা যাবে। আসাম ত্রিপুরার পর উত্তরপুর্বের এই পাহাড় ঘেরা রাজ্য দুটিকে পাখির চোখ বিজেপি ও কংগ্রেস। সমগ্র উত্তরপূর্বকে কব্জায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রচার সেরেছেন। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীও এসেছেন প্রচারে। হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে দুই দলের মধ্যে। যেই জিতবে তার হাত ধরেই বদলে যাবে উত্তর পূর্বের রাজনৈতিক সমীকরণ। এই শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনা একটা ধাক্কা বৈকি।